সমুদ্রের তলদেশে পড়ে থাকা রহস্যময় বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের নতুন ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিওতে টাইটানিকের যে চিত্র ভেসে উঠেছে, তা ইতি পূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি।
১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে বিশাল বরফ খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটানিক। জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় এক হাজার ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়। আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে এখন জাহাজটি পড়ে আছে।
দুর্ঘটনার ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে সমুদ্রের অতল গভীরে টাইটানিকের সন্ধান পায় বিজ্ঞানীরা। এর পর থেকেই এ জাহাজটির প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
এই কৌতূহল মেটাতেই গভীর সমুদ্রে ম্যাপিং ও স্ক্যান করে টাইটানিক জাহাজটির থ্রিডি ভিডিও ধারণা করা হয়। ভিডিওটি দেখলে মনে হয় যেন, জাহাজটির আশপাশে কোনো পানি নেই। শুধু খালি একটি জায়গায় জাহাজটি পড়ে আছে।
আগে টাইটানিকের যেসব ভিডিও বা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলো ঘোলা এবং অস্পষ্ট। এ ছাড়া পুরো জাহাজটির ভিডিও একসঙ্গে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন ভিডিওতে জাহাজটির পুরো ধ্বংসাবশেষের চিত্র স্পষ্ট উঠে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে— টাইটানিকটি দুই খণ্ড হয়ে পড়ে আছে।
অবশ্য এ ভিডিও ধারণ কালে সমুদ্রের নিচে যেতে হয়নি বিশেষজ্ঞদের। তারা সমুদ্রের ওপর থেকেই সাবমার্সিবল ব্যবহার করে ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করে জাহাজটির ছবি তুলেছেন।
নতুন এ ভিডিওতে জাহাজের অতি সুক্ষ বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ১০০ বছর ধরে মহাসমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা মানুষের জুতা, মদের বোতল সহ বেশ কিছু জিনিস দেখা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন