ইউরোপের এ ছোট একটা হোটেল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে। এখানে আপনি একই সময়ে দুটি ভিন্ন দেশে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা পাবেন। এই বিছানায় আপনার সঙ্গীকে নিয়ে একসাথে ঘুমালে আপনি থাকবেন এক দেশে আর আপনার সঙ্গী থাকবে অন্য দেশে
বিশ্বে এমন অনেক সীমান্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে দুই দেশের মানুষ একে অন্যের সাথে মিলেমিশে থাকেন। অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে মানুষ এক দেশে কাজে যান এবং অন্য দেশে ঘুমাতে যান। এমনও দেশ রয়েছে যেখানে রান্নাঘর এক দেশে এবং শোয়ার ঘর অন্য দেশে। আমাদের বাংলাদেশে কুড়িগ্রামেও এক লোক থাকেন বাংলাদেশে আর টয়লেট সারেন ভারতে। কিন্তু একসঙ্গে দু’দেশে থাকার অভিজ্ঞতা পেতেহলে অপনাকে হোটেল আরবেজকেই বেছে নিতে হবে।
একটি ছোট্ট পরিবার এই হোটেলটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে, এই হোটেলের পেছনে ১৮৬২ সালের ইতিহাস রয়েছে। ড্যাপেসের চুক্তির কারণে এই হোটেল তৈরি করা হয়। ওই চুক্তি অনুসারে, নিকটবর্তী রাস্তায় ফরাসি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা ছোট অঞ্চল অদলবদল করতে সম্মত হয়েছিল ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে যেকোনো ইমারতকে অক্ষত রাখার জন্য কঠোর আইনও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু এই হোটেল আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল।
ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত লা কিওর নামের একটি ছোট গ্রামে অবস্থিত এই হোটেল আরবেজ। ১৯২১ সালে খোলা হয় এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এই হোটেলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। জার্মানদের ফ্রান্স দখলের সময় হোটেলের সুইজারল্যান্ডের অংশে আশ্রয় নিয়েছিল ফরাসিরা।
হোটেলের ডান দিক হলো সুইজারল্যান্ড এবং বাঁ দিকে ফ্রান্স। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সীমান্ত হোটেলের একটি ঘরের বিছানা এবং বাথরুমের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই নির্দিষ্ট ঘরে যদি কোনো ব্যক্তি ঘুমাতে যান, তাহলে তার সুইজারল্যান্ডে মাথা এবং ফ্রান্সে পা থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন